দর্শন করে এলাম শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু সংগ্রহশালা বাগবাজারে নতুন দ্রস্টব্য স্থান।
সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রী চৈতন্য দেব দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে জগন্নাথ ধাম পুরী পৌঁছান। যাত্রাপথে নানা স্থানে তিনি বিশ্রাম নেন, পরবর্তী কালে সেই স্থানগুলো তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
উত্তর কলকাতার বাগবাজার ঘাট ও মহাপ্রভুর স্মৃতিধন্য।
মহাপ্রভুর বাণী ও ভাবনাকে প্রসারিত করার জন্য প্রায় একশ বছর আগে উল্টোডাঙার ভাড়া বাড়িতে ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গড়ে তুলেছিলেন প্রথম গৌড়ীয় মঠ। ১৯৩০ সালে বাগবাজারের গঙ্গা তীরবর্তী ৪০ কাঠা জমির ওপর ব্যবসায়ী জগবন্ধু দত্তের আর্থিক সহায়তায় গড়ে ওঠে 'গৌড়ীয় মঠ ও মিশনের' প্রধান কেন্দ্র।
এখানেই মঠ সংলগ্ন চারতলা ভবনের প্রায় ১৬,০০০বর্গফুট জুড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে শ্রীচৈতন্য সংগ্রহশালা। মহাপ্রভু সম্পর্কিত তথ্য, চৈতন্য রচয়িতাদের পুঁথি- টীকা, তালপাতার পুঁথি আছে। নানা চিত্র ও মূর্তির সাহায্যে তাঁর জীবনের নানা ঘটনাবলী ও পারিপার্শ্বিকতাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রবেশ পথে আছে শ্রীচৈতন্যদেবের অনুপম মূর্তি।
সময়: সকাল৭ থেকে দুপুর ১
বিকাল ৩ থেকে সন্ধ্যা ৭
আর বাগবাজারে যখন যাচ্ছেন ঘুরে আসুন মায়ের বাড়ি. গিরীশ ঘোষ ও নিবেদিতার বাড়ি দর্শন করে মনটা পবিত্রতায় ভরিয়ে তুলুন।
No comments:
Post a Comment